
এই রাষ্ট্র, রাষ্ট্র নাই। সব ধ্বংস করে ফেলেছে বর্তমান সরকার এমনটি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম।
সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই রাষ্ট্র, রাষ্ট্র নাই। সব ধ্বংস করে ফেলেছে এই সরকার।
গয়েশ্বর বলেন, যে যেমন পারছে, লুটেপুটে খাচ্ছে। আমরা সবাই জানি পণ্যর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে, কিন্তু এই সরকারের আমলে তার বিপরীত দেখতে পাচ্ছি। কৃষক ধান উৎপাদন করে বিক্রি করতে পারছে না। ধান ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, দাম পাচ্ছে না। অথচ চাল কিনতে গেলে পকেট খালি হয়ে যাচ্ছে। সকালে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে, বিকেলে লবণের দাম বাড়ছে। শেখ হাসিনার সরকার হীরক রাজার কাহিনীকেও হার মানিয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা সবাই কথার ফুলঝুরি দিয়ে নেতাদের খুশি করতে চাই। বেগম জিয়া আমাদের নেত্রী, তিনি কারাগারে গেলেন আর সেদিন আমরা কয়েক হাজার নেতাকর্মী জেলে গেলাম না তাহলে আমরা তাকে নেত্রী হিসেবে কোন স্থানে রাখলাম?
তিনি বলেন, আমরা কেউ মৃত্যু থেকে বাঁচতে পারবো না। কখন কার মৃত্যু হবে তা সৃষ্টকর্তা ভালো জানেন। তাই আসুন জেলের ভয় না পেয়ে ৭১ এর মত ডু অর ডাই আন্দোলন করি। বেগম জিয়াকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করি। এটাই হবে তার জন্য সন্মানের মুক্তি।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা নেতা হওয়ার পেছনে যার অবদান তার জন্য কি আমাদের কিছু করার নেই? যদি থাকে তাহলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আমরা যারা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না, এটা হচ্ছে আমাদের অপরাধ।
তিনি বলেন, আমাদের ইস্যু হচ্ছে গণতন্ত্রের মুক্তি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। এই দুটি দিক যদি আমরা ঠিক করতে পারি তাহলেই সফল হবো। একজন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, এই সরকারকে যাওয়ার পথ খুঁজতে হবে। সরকার যেই ঋণ করেছে যাওয়ার পর এই ঋণের বোঝা জনগণের মাথার উপরে ভর করবে। এই সরকার যাওয়ার পর যারা সরকার গঠন করবে তাদের দেশ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।