
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক সেনাপ্রধান ও সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের মা লতিফা বেগম আর নেই। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল রোববার ভোরে দিনাজপুরের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন তিনি ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৪ বছর।
বিএনপি মহাসচিব এক শোক বার্তায় মরহুমা লতিফা বেগমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকবিহব্বল পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমকে মাহবুবুর রহমান নিজেই জানান, তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির পদসহ সাধারণ সদস্য থেকেও পদত্যাগ করেছেন। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়। কিন্তু বিএনপির দফতর থেকে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেই লেখা হয়।
শোকবার্তায় মরহুমা লতিফা বেগমকে একজন আদর্শবান, ন্যায়পরায়ণা ও ধর্মপ্রাণ নারী হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন দায়িত্বশীল মাতা হিসেবে নিজ পরিবারের প্রতি তার কর্তব্যবোধ ছিল অপরিসীম। অত্যন্ত ধৈর্যশীল এই মহিয়সী নারী সুখে-দুঃখে সব সময় স্বামীসহ নিজ সন্তানদের সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। পরিবারের প্রতি কর্তব্যের পাশাপাশি তিনি নিজ এলাকার গরিব-দুঃখীদের যথাসাধ্য সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামীন যেন মরহুমা লতিফা বেগমকে বেহেস্ত নসিব এবং শোকাচ্ছন্ন পরিবারবর্গকে এই বিশাল মৃত্যুশোক কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা দান করেন।
মিজা ফখরুল বলেন,‘পরিবারের প্রতি কর্তব্যের পাশাপাশি তিনি নিজ এলাকার গরিব-দুঃখীদের যথাসাধ্য সাহায্য করতেন। তার মৃত্যুতে পরিবার, নিকটজনসহ দিনাজপুরবাসীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দোয়া করি, মহান রাব্বুল আলামিন যেন মরহুমা লতিফা বেগমকে বেহেশত নসিব এবং শোকাচ্ছন্ন পরিবারকে এই বিশাল মৃত্যুশোক কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা দান করেন।