
ব্যবসায়ীরা ফলে কী রাসায়নিক মেশাচ্ছেন আল্লাহ জানেন বলে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) উদ্দেশ্য করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ফলে রাসায়নিক শনাক্ত করতে বন্দরে ‘কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট’ বসানোর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ফলে কি কি রাসায়নিক থাকে ৫ ডিসেম্বর মধ্যে তা পরীক্ষা করে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্ট বলেছেন, ফলে ফরমালিন মেশানোর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। মানুষের কিডনি-লিভার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব ফলে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এমআর হাসান (মামুন)।
গত ২৩ জুন মৌসুমি ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ হয় কিনা, তা পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া ফলে রাসায়নিকের পরীক্ষার জন্য দেশের বন্দরগুলোতে ‘কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর গত ২৬ আগস্ট বিএসটিআই জানায় তারা ফলে রাসায়নিক পায়নি।
আদালত বলেন, ‘বাজারে কোনো কলা নেই যে কার্বাইড ছাড়া পাওয়া যায়। বাজারে গেলে আমরা পাই, আপনারা পান না কেন? খাদ্য রাসায়নিক মেশানো অসৎ ব্যবসায়ীদের ভাবা উচিত তাদেরও পরিবারের কেউ না কেউ ভুক্তভোগী হতে পারে।’