
বিএনপির অনেক নেতাই দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য বহুদিন ধরেই চিন্তা-ভাবনা করছেন এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করছেন। বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ‘বিএনপির কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে কিনা’-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অনেক নেতাই দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য বহুদিন ধরেই চিন্তা ভাবনা করছেন এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে যে যোগাযোগ করছেন না তা নয়। আওয়ামী লীগ কিন্তু যাকে তাকে দলে নেওয়ার জন্য বসে রয়নি। আওয়ামী লীগ একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা দল। আওয়ামী লীগে যোগদান করতে চাইলেই সবাইকে নেওয়া সম্ভবপর নয়।
‘তাদের দল থেকেই অনেকেই দল ত্যাগ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, মাত্র শুরু হলো ভবিষ্যতে বিএনপি আরো দেখতে পাবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের দল থেকে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা চলে গেছেন, এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, গয়েশ্বর বাবু নিজেই কখন বিএনপি’র বট গাছের নিচ থেকে চলে যায়, সেই প্রশ্ন এখন অনেকেই তুলছে। যেভাবে তাদের সিনিয়র নেতারা দল ত্যাগ করে চলে যাচ্ছে এই ছেড়ে যাওয়ার তালিকায় আরো বহুজন আছে সেগুলো বিএনপি নিশ্চয়ই দেখতে পাবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, এই হতাশাজনক পরিস্থিতিতে গয়েশ্বর বাবু নিজের হতাশা কাটানোর জন্য এই ধরনের কথা বলছেন। তারা যে নেতিবাচক রাজনীতি করে তাতে দল থেকে এভাবে নেতারা চলে যাওয়া থামাতে পারবে না। বিএনপির রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-মামলা আর তারেক জিয়ার মামলার মধ্যে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে বিএনপিকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাতে দলের মধ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এখানে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন না। সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। সিদ্ধান্ত আসে তাদের দলের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের কাছ থেকে।