এবার আসাদউদ্দিন ওয়েইসির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তাঁর সাফ কথা, পলাতক মুসলিম ধর্মগুরু জাকির নায়েকের থেকেও বেশি বিপজ্জনক ওয়েইসি।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) প্রধানের বিরুদ্ধে টুইটারে তসলিমা লেখেন, ‘আমার মতে জাকির নায়েকের থেকেও বিপজ্জনক আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। ধর্মকে কাজে লাগিয়ে নায়েক উগ্রপন্থা ছড়াচ্ছে। এদিকে, ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক অভিসন্ধি পূরণ করছে ওয়েইসি। আমরা মৌলবাদীদের শত্রু বলে গণ্য করি। তবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা নেতাদের চিনে উঠতে পরি না। কারণ তারা গণতন্ত্রের আড়ালে ধর্মতন্ত্র চালায়।’
তসলিমার এমন বয়ানে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তবে বিশ্লেষকদের একাংশের মত ভারতের মতো দেশে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করা নতুন কিছু নয়। তসলিমা নিজেও ধর্মীয়ও উন্মাদনার শিকার। তাঁর এই পর্যবেক্ষণ সঠিক। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক ওয়েইসির মতো নেতার। কারণ জাকির নায়েকের মতো বিতর্কিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া গেলেও ওয়েইসির মতো নেতারা জনমতকে হাতিয়ার করে পার পেয়ে যায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে রীতিমতো আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তাঁর দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)।
এর আগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসলে তুলোধোনা করে ওয়েইসি বলেছিলেন, ‘বাংলায় মুসলমানরা সুরক্ষিত নয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ঠকিয়ে আসছে তৃণমূল। বাংলায় বিজেপি কী করে ৪২টির মধ্যে ১৮টি লোকসভা আসন পেল। সেই জবাব দিন মুখ্যমন্ত্রী।’
মিম প্রধানের এই অভিযোগের পরই তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার কোচবিহারের জনসভা থেকে ওয়েইসির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘রাজনীতি করতে গিয়ে দেখেছি হিন্দুদের মধ্যে উগ্রতা রয়েছে। তবে এখন সংখ্যালঘুদের মধ্যেও উগ্রপন্থার বিষ ঢোকানোর চেষ্টা করছে অনেকে। এরা বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে এরাজ্যের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। হায়দরাবাদ থেকে এরাজ্যে এসে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সবাইকে বলব এদের বিরুদ্ধে একজোট হন।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।