
চালকল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে অযথা একটা কেলেঙ্কারি হয়েছে। চাল নিয়ে পেঁয়াজের মতো এরকম যেন না হয়।
আজ সকালে খাদ্য ভবনে চালকল মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
পেঁয়াজের দামের মতো চালের দামও যেন অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে না যায়, সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন ধরে পত্র-পত্রিকায় দেখছি চালের দাম বাড়ছে। তবে এখনো আমাদের মজুদ অনেক বেশি। পেঁয়াজের দামের মতো চালের দাম নিয়েও যেন কোনো সমস্যা না হয়, সহনীয় বাজার যেন অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে না যায়। চালের দাম কম থাকলেও আমাদের গোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়, বাড়লেও গোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়। বাজার সহনীয় রাখতে হবে। এ ব্যাপারে আপনারা সতর্ক থাকবেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএসের (খোলা বাজারের) চাল ডিলাররা নিতে চায় না, কারণ কম দাম। এ ব্যাপারে কোনো অনিয়ম থাকলে সেটা আমাদের জানাবেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি চালের দাম বৃদ্ধি। কিন্তু আমি বুঝি না, আমাদের এখন সর্বকালের সর্ববৃহৎ সরকারি (খাদ্যশস্য) মজুদ। ওএমএস ডিলাররা এখন চাল নেয় না। বাজার কন্ট্রোলের জন্য তো সরকার ওএমএস ডিলার নিয়োগ করেছে। সরকারের মজুদ থেকেই ডিলারদের চাল দিয়ে বাজার কন্ট্রোল করা হয়।
তিনি বলেন, কিন্তু ওএমএস ডিলাররা নাকি ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে পারে না। তাই ওএমএস ডিলাররা চাল নিতে চায় না। এর অর্থ এই নয় যে আমাদের গুদামে খারাপ চাল আছে। আমাদের বোরো প্রকিউরমেন্টের চাল রয়েছে এবং ভালো চাল রয়েছে। এই চাল ৩০ টাকা দরে কিনতে চায় না। কিন্তু পত্র-পত্রিকায় এসেছে চালের দাম বেড়েছে। আমরাও তো বাজার মনিটরিং করি। আমরা বাজার মনিটরিংয়ে দেখেছি ফাইন রাইসের (চিকন চাল) দাম কিছুটা বেড়েছে।