গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার দে এর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার দে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রায় ৮/১০টি অস্তিত্ব বিহীন মিলের তালিকা প্রনয়ন করে আসছে বরাদ্দ জন্য পায়তারা, অস্বিত্ব বিহীন মিলের লাইসেন্স করিয়ে দিয়ে মোটা অংকের অর্থ গ্রহন, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীতে ফেয়ার প্রাইজের চাল উত্তোলনের ডিও প্রদানের সময় অফিস খরচের নামে অর্থ গ্রহনসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করায় প্রকৃত মিলাররা ফুঁসে উঠেছে । তারা এই দুর্নীতি -অনিয়ম রোধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় করেছেন অভিযোগ দায়ের।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিলাররা জানান,উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার দে গত ১৯/০৯/২০১৯ইং এ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরে যোগদানের পর থেকে গোপন কন্টাক্টের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় অস্বিত্ব বিহিন মিলের লাইসেন্স পাইয়ে দেয়ার নামে সিতারা চাউলকল, যমুনা চাউল কল, রাফি চাউল কল সহ ৮/১০জন অস্তিত্ব বিহীন মিলে আসছে মৌসমে বরাদ্দ পাইয়ে দেয়ার জন্য তালিকা প্রনয়ন করায় প্রকৃত মিলারদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরও জানান, মিলে বরাদ্দ পেতে হলে সরকারী কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে, যেমন একটি মিলের বরাদ্দ নিতে হলে প্রকৃত মিলারের সেই মিলটি চালু থাকতে হবে, চাতাল, বয়লার, গোডাউন, পরিবেশ বান্ধব সার্টিফিকেট সহ কোয়ালিটি সম্পূর্ন চাল উৎপাদনের ক্ষমতা থাকতে হবে। এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা একেক মিলের একেক সমস্যার অন্তরালে মোটা অংকের অর্থ গ্রহন করার মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। এছাড়াও ফেয়ার প্রাইজের কিছু ডিলারের কাছ থেকে ডিও প্রদানের সময় অফিস খরচ বাবদ মোটা অংকের অর্থ গ্রহন করছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার দে এর বক্তব্য জানতে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।