
ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘অনুমতি না নিয়ে সভা-সমাবেশ করার সাহস, শক্তি বা সক্ষমতা নেই বিএনপির’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া এই বক্তব্যের জবাবে আজ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি নূরে সাহাদাত স্বজন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূর করিম সহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তারা এখন নিজেদেরকে প্রভু ভাবতে শুরু করেছে। রাষ্ট্রের প্রভু তারা, এটাই তাদের সমস্যা হয়ে গেছে। সবকিছু তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। ভিন্ন একটা রাজনৈতিক দল কিভাবে চলবে এটাও তারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। অথচ সংবিধানে খুব পরিষ্কারভাবে সকল দলকে সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদ করার অধিকার দেওয়া আছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সভা-সমাবেশ করার অনুমতি চাইনা, আমরা অবগত করি। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করলে পিডাব্লিউডি, সড়কে করলে পুলিশের কাছে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এই সরকার যেটা করছে সেটা গ্রাম্য মোড়লের কায়দায়। সরকার অনুমতি দিতে তাল-বাহানা করে থাকে। সভা সমাবেশের দুই ঘণ্টা আগে অনুমতি দিয়ে থাকে। এতে সমাবেশ সফলভাবে করা খুব কঠিন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করে প্রভু বনে গিয়েছিলো। আবার এখনতো ১০ বছর ধরে দেশে প্রভুত্ব করছে। এখন তারা পাকাপোক্ত প্রভু হিসেবে বসতে চায়। যেটা তাদের মানসিকতার সমস্যা। গণতান্ত্রিক চেতনা তাদের মধ্যে নেই। তারা নিজেদের রাজা বাদশা ও প্রভু ভাবতে শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। কারণ তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। তাই অবিলম্বে এই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের গঠন করে আবারো পুনরায় নির্বাচন করা উচিত।