
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মোধ্যমে সরকারকে সরানোটাই হচ্ছে মূল কাজ। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষকে এক করে দালালের মতো বসে থেকে যারা আমাদের সবকিছুকে তছনছ করছে তাদের সরাতে হবে। সেজন্য আমরা বলেছি রাতের নির্বাচন বাতিল করতে হবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের একটি হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ফেনী নদীর পানি চুক্তি; বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিপর্যয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)।
এ্যাব এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পুরোকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন।
এতে আরও অংশগ্রহণ করেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের (একাংশের) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।
তিনি বলেন, অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নতুন ভাবে নির্বাচন করতে হবে। যার মাধ্যমে জনগণের সরকার হবে। গণতান্ত্রিক সরকার হবে।
ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর ফেনী নদীর পানি চুক্তির বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ফেনী নদীর পানি চুক্তির বিষয়ে জাতীয় সংসদে কোনো আলোচনা হয়নি। এটা এমন একটা সংসদ যেখানে এ চুক্তিগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। আমাদের সংবিধানে বলা আছে যেকোনো চুক্তি নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে হবে। অথচ তারা এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ফেনী নদী বাংলাদেশের নদী। এটি অভিন্ন নদী নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলছেন খাবার পানি চাইলে কি পানি দেবো না? ভালো কথা পানি দেবেন। কিন্তু আমাদের যে লাখ লাখ মানুষ তিস্তার অববাহিকায় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, জীবন-জীবিকা নষ্ট হচ্ছে। সে বিষয় নিয়ে আপনারা কথা বলবেন না? ১২ বছরেও তিস্তার এক ফোঁটা পানি আনতে পারলেন না।
আমরা কখনও ভারতবিরোধিতা করিনি দাবি করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। সমস্যা হলো এমন একটা সরকার যারা আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে পারে না। বার্গেনিং করতে পারে না। সেই শক্তিটা তাদের নেই।
দলের চেয়ারপাসন বেগ খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখার কোনো বৈধতা নেই বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আইনগতভাবে তিনি আটক থাকতে পারেন না। একটা মিথ্যা মামলার ওপরে দণ্ড দিয়ে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে আটক রাখা হয়েছে এজন্য তিনি হলেন স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক। যখন টিপাইমুখ বাঁধ করতে তোরজোড় চলছিল তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন। তিনি প্রেসকনফারেন্স করেছেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য তিনি সারাজীবন লড়াই করেছেন। সেজন্যই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে।