
বাজারে চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। সেখানে আমরা চাল আমদানি নয়, রপ্তানির চিন্তা করছি বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ বুধবার সচিবালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, কৃষি, স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রীর বলেন, চালের মজুত আছে, সেখানে আমরা চাল আমদানি নয়, রপ্তানির চিন্তা করছি। এমন পরিস্থিতিতে চালের দাম বাড়াটা অযৌক্তিক ও অনৈতিক।
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি বিধান সংশোধন চেয়ে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এতে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বাজারে যে পরিমাণ চাল আছে, সেখানে পরিবহন ধর্মঘট যদি আট থেকে ১০ দিনও চলে তাতেও কোনও প্রভাব পড়বে না।
‘কেউ যদি এমন পরিস্থিতিতে অনৈতিকভাবে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে ছাড় দেয়া হবে না। তা সহ্যও করা হবে না।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবার ধানের দাম কম আছে। সেহেতু চালের দাম এবার কম হতে হবে এটাই হচ্ছে কথা।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করলে কোনো ব্যবসায়ীকে ছাড় দিবে না সরকার।’
প্রসঙ্গত, দুই মাসের ব্যবধানে দুই দফা বেড়েছে চালের দাম। কেজিতে বেড়েছে ৭-২০ টাকা পর্যন্ত। সপ্তাহের ব্যবধানে এর দাম বেড়েছে ৪-৬ টাকা। মজুদ শেষ হওয়ায় চিকন চালের দাম বাড়ছে বলে আসছে আড়তদার ও মিল মালিকেরা। অন্যদিকে সরকার দাবি করছে চালের মজুত পর্যাপ্ত।