
গুলশানের বহুল আলোচিত হলি আর্টিজান মামলার রায়ে সাত আসামিকে ফাঁসিরে ও এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আসামির এজলাসের মাথায় আইএসের টুপির বিষয়ে তদন্ত করা হবে। হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার রায়ে সরকার সন্তুষ্ট। মামলাটির রায় ঘোষণার পর এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তিনি এ কথা জানান।
এছাড়া আইএসের টুপিসহ এজলাসে আসামির প্রবেশের ঘটনাটি তদন্ত করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন আইনমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এর প্রশ্নের জবাবে আইএসের প্রতীক সম্বলিত টুপি পরে আসামির এজলাসে যাওয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এ প্রশ্নের জবাব আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এ ব্যাপারটার তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত যেন হয়, সেজন্য এ প্রেস কনফারেন্স শেষ করেই কথা বলব আমি।
এ রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এরকম চাঞ্চল্যকর এবং যেসব মামলা দেশের শেকড়ে গিয়ে ধাক্কা দেয়, সেসব ঘটনার বিচার দ্রুত শেষ করতে পারছি, এটাও সন্তুষ্টির কারণ।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনাটি যখন ঘটেছিল ১ জুলাই, সেসময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, এসব অপরাধীদের দ্রুত বিচার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সে কথারই সত্যতা প্রমাণ হলো আজ। আমরা এ বিচার কার্যক্রম ও রায়ে সন্তুষ্ট।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যরা বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে। এই হামলায় দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়।
ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন থানার এসআই রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান। এক বছরের বিচারকালে মামলার মোট ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১৭ নভেম্বর এ মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। পরে আদালত ২৭ নভেম্বর দিনটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য করেন।