
সেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, যুবলীগের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ছাড়াও যুবলীগের তিন নেতা এবং গ্রেফতারকৃত দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে হিসাব জব্দের জন্য পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনবিআর। চিঠিতে তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজিব, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান এবং যুবলীগ নেতা কেএম মাসুদুর রহমান এবং তাদের স্ত্রী-পরিবারের সদস্যরা।
যুবলীগের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ তার স্ত্রী সানজিদা রহমান, তাদের দুটি প্রতিষ্ঠান টি-টোয়েন্টিফোর গেমিং কোম্পানি লিমিটেড ও টি-টোয়েন্টিফোর ল’ ফার্ম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থানান্তর করতে পারবেন না।
অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউসার, স্ত্রী পারভীন লুনা, মেয়ে নুজহাত নাদিয়া নিলা এবং তাদের প্রতিষ্ঠান ফাইন পাওয়ার সল্যুয়েশন লিমিটেড।
এছাড়া পৃথক চিঠিতে যুবলীগের সদ্য বিদাযী চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, তার স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির আহমেদ চৌধুরী ও ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী এবং তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লেক ভিউ প্রোপার্টিজ ও রাও কনস্ট্রাকশনের হিসাব থেকেও কোনো টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করা যাবে না। চিঠিতে ধানমন্ডির ৮/এ সড়কের ইস্টার্ন হেরিটেজ, রমনার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের ৪৫ নম্বর বাসা ও চট্টগ্রামের রাউজানের সূত্রাপুর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে।