
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)’র ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন, সেই অভিযানে শুধু যুবলীগকে ধরলে হবে না, ছাত্রলীগের লাগামও টেনে ধরতে হবে বলে। ছাত্রলীগকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তাহলে ছাত্রলীগ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতির কারণ হবে।
বুধবার দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গণরুম-গেস্টরুমে নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধে ও প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের দাবিতে অনুষ্ঠিত ছাত্র-শিক্ষক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
উন্মুক্ত এ আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক অংশ নেন। শিক্ষকদের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তামজীমউদ্দীন খান, আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ডাকসু ভিপি বলেন, ছাত্রলীগের এক সময় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল, আমরা তা অস্বীকার করছি না। কিন্তু গত বিশ বছরের অবদান কী? কোনো অবদান নেই। বরং শিক্ষার্থীদের কাছে তারা নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গত সাত বছরে ছাত্রলীগের হাতে ২৮২ জন শিক্ষার্থী নিপীড়নের শিকার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গত ১৫ মাসে ২২টি নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। আবরারের হত্যাকাণ্ড আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।
নুর আরো বলেন, ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও তারা কেন আজ শিক্ষার্থীদের ত্রাসের কারণ হবে? কেন আজ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিতে হয়? যে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে, তারা কেন আজ নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ? শিক্ষার্থীদের ত্রাসের কারণ?