
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন এই আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
এছাড়া এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ ও তার স্ত্রীর নামীয় ১৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধেরও আদেশ দিয়েছে আদালত।
আবেদনে মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিষয়ে বলা হয়, আসামি অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন। এ সমস্ত অবৈধ সম্পদ বিভিন্ন পন্থায় দুবাইয়ে পাচার করেন এবং এ পাচার করা ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে নিজেদের দখলে রেখে এর অবৈধ প্রকৃতি, উৎস অবস্থান গোপন বা এর ছদ্মাবরণে পাচার বা পাচারের প্রচেষ্টায়/ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), (৩) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ১৩ মে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রাথমিক তদন্তে এবং রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোজা প্রোপার্টিজের পরিচালক ফালু। রোজা প্রোপার্টিজের সম্পত্তি মূলত তারই ভাতিজা নাঈম উদ্দিন আহমদের নামে ক্রয়কৃত। যা অবৈধ সম্পদ হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। তাই রাজধানীর কাকরাইলে ২০১৫ সালে ২৩ আগস্ট ক্রয়কৃত ১৬ কোটি টাকায় ওই স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর করতে না পরে এজন্য ক্রোক করা প্রয়োজন। এছাড়া রোজা প্রোপার্টিজের কাওরান বাজারস্থ সাড়ে নয় কোটি টাকার, রাজীন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি বিডির ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকার এবং দুবাই এ রোজা এন্টারটেইনমেন্ট এফজেডই ও রোজা ইনভেস্টমেন্ট এলএলসির ৪৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে এ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে মামলার উদ্দেশ্যে ব্যাহত হবে।