
ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও সার্জিও অ্যাগুয়েরোকে ছাড়া মাঠে নামা আর্জেন্টিনা। ম্যাচটাও ছিল প্রতিপক্ষের মাঠে। তারপরও জার্মানির কাছে হারেনি আর্জেন্টিনা। স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাতিন আমেরিকান জায়ান্টরা।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুলা পার্কে আর্জেন্টিনাকে আতিথ্য জানায় জার্মানি। দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে কেউ জিতেনি। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি ড্র হয়েছে ২-২ গোলে।
ম্যাচের ১৭ মিনেটের মাথায় বায়ার্ন মিউনিখের তরুণ ফরোয়ার্ড সের্গি গিনাব্রি গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। তরুণ এই ফুটবলার ক’দিন আগে বায়ার্নের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে টটেনহ্যামের মাঠে গিয়ে একাই চার গোল করেন। দলকে জেতান ৭-২ গোলের বড় ব্যবধানে। সেই ফর্ম জাতীয় দলের হয়েও দেখান তিনি। ম্যাচের ২২ মিনিটে আবার গোল করে জার্মানি। কাই হাভার্টেজ দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন। তাকে দারুণ বলের যোগান দেন গিনাব্রি। ওই গোল নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে জার্মানি। যদিও প্রথমার্ধে গোল করার আরও সুযোগ পায় স্বাগতিকরা।
আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। ম্যাচের ৬৬ মিনিটের মাথায় পাউলো দিবালার বদলি নামা লুকাস আলারিও গোল করে ব্যবধান কমান। জার্মানির হাভার্টেজের মতো তিনিও জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনে খেলেন। এরপর ম্যাচের ৮৫ মিনিটে গোল করেন লুকাস অকাম্পোস। লা লিগার ক্লাব সেভিয়ায় খেলা ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার গোল করে আলবেসেলেস্তেদের হারের লজ্জার হাত থেকে বাঁচান।
ম্যাচে অবশ্য বল দখলের হিসেবে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে শুরুতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল স্কালোনির দলের অধীনে। ঠিক দ্বিতীয়ার্ধের শেষটা আবার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ রাখে আর্জেন্টিনা।