
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পিয়ারাপুর (গুয়ার ভিটা) দুলু মিয়া (৪৫) নামে এক যুবকের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। এলাকাবাসী জানিয়েছে পশ্চিম পিয়ারাপুর গ্রামের মৃত কেরামত আলীর পুত্র প্রবাস ফেরত দুলু মিয়া (৪৫) তার বাড়ী সংলগ্ন জলদির মোড়ে মুদি দোকান খুলে ব্যবসা করত। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল রাত অনুমান ৯টার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়ী যায়।বাড়ী যাওয়ার ঘন্টা খানেক পরে বাড়ী থেকে বের হয়ে আবারো এই বাজারে গিয়ে তার নিজের দোকান সংলগ্ন অন্য দোকান থেকে প্রয়োজনীয় তাগাদা সেরে আবার বাড়ী চলে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ী ফেরেনি।
তার স্ত্রী হেলেনা বেগম জানিয়েছে আমার স্বামী গতকাল রাতে মাছ ধরার টেপি পাতানোর জন্য টেপি হাতে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। তার বাড়ী ফেরার অপেক্ষায় রাত ভোর হয়ে যায়। পরে সকাল বেলা বাড়ী সংলগ্ন ধানের জমি সংলগ্ন বাগানে তার মস্তকবিহীন লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তার মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।অনেক খোঁজাখুজি করেও তার মস্তক খুজে পাওয়া যায়নি।তার স্ত্রী হেলেনা বেগমের তথ্য মতে জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে স্ত্রীর পরকিয়া সংক্রান্ত কারনে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। দুলু মিয়া প্রবাসে খাকাকালীন সময় থেকেই তার স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বছর খানেক আগে পরকিয়ার কারনেই তার স্ত্রী হেলেনা গলায় ফাঁস দিয়েছিলো। কয়েকদিন আগেও তার বাড়ীতে পরকিয়া সংক্রান্ত ঘটনায় শালিষ বৈঠক হয়েছে। এলাকার অনেকের দাবী তার স্ত্রীর মুঠোফোন ২টি জব্দ করলেই এই হত্যাকান্ডের মূল ধরস্য উদঘাটন হবে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ শাহরিয়ার জানিয়েছেন, আমরা দুলু মিয়ার মস্তক বিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছি। মস্তক উদ্ধারের চেষ্টা করছি। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। খুব দ্রুতই হত্যাকান্ডের রসস্য উদঘাটিত হবে।