
অনলাইনে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানের বনানীর বাসা থেকে
অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ, ২১ লাখ টাকা জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, এখনো অভিযান চলছে। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গ্রেফতারের পর সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর গুলশান-২ এর ১১/এ রোডে সেলিম প্রধানের অফিসে অভিযান শুরু করে র্যাব।
দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান চালানোর বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান চালানোর পেছনে মূলত কিছু কারণ রয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই বাড়িতে অভিযান চলছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি ছাড়ার আগ মুহূর্তে সেলিম প্রধানকে আটক করা হয়। তিনি বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা। র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার জানান, সেলিম অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার সঙ্গে জড়িত। তিনি ক্যাসিনোর অর্জিত আয় বিদেশে পাচার করে আসছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালনাই নয়, সেলিম প্রধান রাজশাহীসহ সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় গবাদিপশুর সব খাটাল ও মাদক সিন্ডিকেটের হোতা। এমনকি সীমান্তে জালটাকার মূল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণও তার হাতে।
সূত্র জানায়, অনলাইনে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার সেলিম প্রধান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তারেকের বিভিন্ন পার্টিতে তরুণী সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। সিলেট থেকে অবৈধভাবে পাথর নিষ্কাশনের কাজও করতেন তিনি।
প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে তিনি খাটাল, মাদক ও জালটাকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা নেন। দুই বছরে তিনি সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন।