ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। বৃহস্পতিবার বিকালে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ডাকসুর সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী ছাড়া অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার জায়গা। সুতরাং এখানে ধর্মভিত্তিক , সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চর্চা করার সুযোগ নেই। কোনক্রমেই যেন তাদের কর্মকাণ্ড এবং কর্মতৎপরতা এখানে পরিচালিত না হয় সেজন্য সবাইকে যত্নবান হতে হবে। ’এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের জন্য ডাকসু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে যা আলোচনা হয় তার সবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তা একেকটা সিদ্ধান্ত।
জানতে চাইলে ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আজকে আমাদের ডাকসুর সভায় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত ছিল। ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন সেটি উত্থাপন করেছেন। তারপর আমাদের ডাকসুর সম্পাদকবৃন্দ এবং সদস্যবৃন্দ সেটা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে ডাকসুর প্রস্তাবে ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা প্রস্তাব হিসেবে নয়, সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়েছে অর্থাৎ আজকে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের সাম্প্রদায়িক ও ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ।’
সাদ্দাম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছি ডাকসুর গঠনতন্ত্রে যেন এ বিষয়ক একটি ধারা সংযোজন করা হয়। একইসঙ্গে সিনেট-সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য আইনানুগ যে সব বডি রয়েছে সে সব বডিতে যেন এই সংক্রান্ত ধারা সংযোজন করা হয়।