
আলোচিত যুবলীগ নেতা ‘টেন্ডার কিং’ জি কে শামীম টেন্ডার বাগিয়ে নিতে উঠতি মডেল ও নায়িকাদের ব্যবহার করতেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের নাম বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। নিজের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি টেন্ডার বাগিয়ে নিতে তাদের ব্যবহার করতেন শামীম। উচ্চ পদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তারা শামীমের পাঠানো তালিকা দেখেই বাছাই করে নিতেন মডেল, নায়িকাদের।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, উচ্চপদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তার নিয়মিত আবদার ছিল, শুধু টাকা দিলেই হবে না, চাই উঠতি বয়সের নায়িকার সঙ্গ। তাদের সেই চাহিদা মতো কর্মকর্তাদের কাছে দীর্ঘ তালিকা পাঠাতেন জি কে শামীম। ছবিসহ সেই তালিকা দেখেই বাছাই করে নিতেন মডেল, নায়িকাদের। একইভাবে প্রভাবশালী নেতাদের খুশি করতেও ফ্ল্যাটে কিংবা তারকা হোটেলে এসব মডেল, নায়িকাদের পাঠানো হতো। এমনকি দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হতো তাদের।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এদের মধ্যে একজন নায়িকা রয়েছেন, যিনি অভিষেকেই শ্রেষ্ঠ নবীন শিল্পী হিসেবে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন। শামীমের সঙ্গে পরিচয়ের পর দ্রুত ভাগ্য পরিবর্তন হতে থাকে খুলনার এই মেয়ের। শামীমের দরবারের আর্শীবাদের বদৌলতে রাতারাতি বদলে যায় তার আর্থিক অবস্থা। এই নায়িকা গুলশানে একটি ফ্যাশন হাউজ ও ধানমন্ডিতে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক হয়েছেন। পাশাপাশি হয়েছেন প্রযোজকও। ডেন্টাল কলেজের প্রাক্তন এই ছাত্রী অভিনয় ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় আত্মপ্রকাশ করেন প্রযোজক হিসেবে। অভিনয় করেছেন ভোজপুরি চলচ্চিত্রেও। পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই নায়িকা।
অভিনয়ের পাশাপাশি তাকে দেখা গিয়েছে মডেলিংয়ে। তিনি ব্রিটল বিস্কুট ও প্রাণ ফ্রুটোর বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি আসিফের গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। শীর্ষ নেতার দরবারে তাকে ডাকা হতো প্রায়ই। দরবারের ডাক এলে যে কাজই থাকুক তা ফেলে ছুটে যেতেন। দরবারের ডাককে আর্শীবাদ মনে করতেন এসব নায়িকা, মডেলরা। ‘টেন্ডার শামীম’ নামে পরিচিত জি কে শামীম গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, তিনি নিজেই ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি করছেন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনে যুবদল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া শামীম নিজেকে পরিচয় দিতেন যুবলীগের সমবায় সম্পাদক হিসেবে।