
অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার দায়ে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার খালেদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা হয়। গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে ৩টি ও মতিঝিল থানায় খালেদের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা হয়।
গুলশানের অস্ত্র-মাদক মামলায় তার আরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে র্যাব। গুলশান থানার অস্ত্র ও মাদক মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আরও ১০দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৩ এর এএসপি বেলায়েত হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দিদারুল আলম অস্ত্র মামলায় ৫ দিন ও মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কমকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় করা অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয় যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় চারদিন এবং মাদক মামলায় তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, আটক খালেদকে র্যাব-৩ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে দুই থানায় চার মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি সে সময় বলেন, ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসা নিয়ে আটক খালেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে গুলশান থানায় ও মাদক আইনে মতিঝিল থানায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। র্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে এ দুটি মামলা করবে বলেও জানান তিনি।