
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানেয়েছেন, সম্প্রতি ঢাকায় পাঁচটি হামলার সঙ্গে জড়িত নব্য জেএমবির পাঁচজনের মধ্যে দু’জন নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার রুমি ও মিজান। হামলায় ব্যবহৃত বোমাগুলো তারাই তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান ও অনলাইন বোমা বানানোর ভিডিও দেখে দক্ষতা অর্জন করে তারা।
এই ঘটনায় জড়িত আর তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে জানিয়েছে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ফরিদ উদ্দিন রুমি ও মিশুক খান মিজানকে গত ২৯শে এপ্রিল গুলিস্তানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার জঙ্গি আস্তানায় বিপুল বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোখলেসুর রহমান বাদী হয়ে ফতুল্লাা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।
এই মামলায় আসামি করা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম জয়নাল আবেদিনের ছেলে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ও প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ফরিদ উদ্দিন রুমি (২৭), নারায়ণগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র মিশুক খান মিজান (১৯) ও পলাতক ফরিদ উদ্দিনের ভাই জামাল
উদ্দিন রফিক, অজ্ঞাত পরিচয়ের তামিম, আজমীর, আনোয়ারসহ এজাহার নামীয় ছয়জন ও অজ্ঞাত আরও ছয়-সাত জন।মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মিশুক খান মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার তক্কার মাঠ সংলগ্ন এক তলা একটি বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। সোমবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ফরিদ উদ্দিন রুমিকে। উদ্ধার করা হয় বিপুল বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম।