
মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তীব্র সমালোচনা করেছেন হাইকোর্ট। তাদের মতে সিটি করপোরেশন নিজেরাই অসচেতন আর এর ফলে নিয়ন্ত্রনহীন মশা!
সোমবার বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর দ্বৈত বেঞ্চ এক স্বপ্রণোদিত আদেশে বলেন, পৃথিবীর অন্য কোনো সভ্য দেশে হাইকোর্ট মশা মারার জন্য আদেশ দেয় না। এটা কেবল বাংলাদেশেই ঘটে।
হাইকোর্ট বলেন, মেয়ররা বললেন, মশার ঔষধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তাহলে এখন তারা কী ঔষধ ছিটাচ্ছে? ঔষধে কি কাজ হয়? মশার ঔষধ ছিটানো হচ্ছে, সেটার কোনো কার্যকারিতা আমরা দেখি না।
যতই আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হোক মশা মারছে সিটি করপোরেশন, আদতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেন, কেন এমন হচ্ছে? সিটি করপোরেশনের প্রচেষ্টা দৃশ্যমান না। সিটি করপোরেশন নিজেরা সচেতন না হয়ে জনগণকে কীভাবে সচেতন হতে বলে? জনগণ সচেতন আছে, বরং কর্তৃপক্ষই ব্যর্থ।
মানুষের হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ হলেই বোঝা যাবে কার্যকরি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে- এমন মন্তব্য করে আদালত প্রশ্ন তোলেন, ডেঙ্গুর কারণে কবে মানুষের হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ হবে?
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তলব করেছেন হাইকোর্ট।