
রাজধানীর রামপুরায় এক শ্রমিককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ চলাকালে শ্রমিকদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পাশাপাশি গুলিও ছোড়া হয়। এতে ওসিসহ আহত হয় ২ জন।
অবরোধে শ্রমিকরা একটি গার্মেন্ট ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ ও তেজগাঁও বিভাগের এক সহকারী কমিশনার (এসি) আহত হন।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান বলেন, ‘সড়ক অবরোধের একপর্যায়ে শ্রমিকরা এক হয়ে ইজি গার্মেন্টে হামলার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় পুলিশ অ্যাকশনে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।‘
গণপিটুনির ঘটনার প্রতিবাদে ইজি ফ্যাশনস নামের ওই কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে রামপুরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিক্ষোভ কারীরা হামলার প্রস্তুতি নিলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
গনপিটুনির ঘটনায় নিহত দেলোয়ার ওই পোশাক কারখানার কাটিং সহকারী ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, বুধবার কারখানা ছুটি হওয়ার পরও দেলোয়ার বের না হয়ে লুকিয়ে ছিলেন। মাঝরাতে তিনি ছয়তলা থেকে কিছু গেঞ্জি জানালা দিয়ে বাইরে ফেললে বাইরে থেকে একজন তা দেখে নিরাপত্তাকর্মীদের খবর দেন।
পরে দারোয়ান কারখানার ম্যানেজারকে খবর দেয়। তিন-চার জন সিকিউরিটি গার্ডকে নিয়ে অফিস সহকারী ইয়াসিন ষষ্ঠ তলায় গিয়ে লুকিয়ে থাকা দেলোয়ারকে খুঁজে বের করে।
উপ কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, “দেলোয়ারকে ধরার পর বেদম পিটুনি দেওয়া হয়। পরে রাতে তাকে গার্মেন্টের ভেতরেই আটকে রাখা হয়।”
খবর পেয়ে পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনাথ মিত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানালেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি উপ কমিশনার আনিসুর।