
গাইবান্ধা জেলার ৭ টি উপজেলার সবকয়টিতে রয়েছে ছোট বড় একাধিক নদ নদী। জেলার পূর্বঅংশে উত্তর ও দক্ষিণ অংশে বিশাল এলাকা বড় বড় নদীর বুকে তিস্তা,বক্ষ্রপূত্র,যমুনা, করতোয়া,ঘাঘট সহ ছোট বড় নদ নদী রয়েছে এ জেলায়। বাংলাদেশ সৃষ্টি আগ হতে এ পর্যন্ত এলাকার মানুষ যুগ যুগ ধরে চলে আসা বন্যা ও মঙ্গায় আর ত্রান নয় এবার পরিত্রান চায় গাইবান্ধা জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
জেলার লক্ষাধিক মানুষ প্রতি বছর বন্যার ভোগান্তিতে পড়তে বন্যার পরে মাঠে ফসলের ফলন না হওয়া নেমে আসে মঙ্গা। চারিদিকে হা হাকার পড়ে ক্ষুধার্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়তে থাকে যেমন তেমনি অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িত হয় অসহায় মানুষ গুলো। নদী গর্ভে বসতভিটা ও মানুষের শেষ ঠিকানা কবরস্থান গুলো নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় বছর বছর। বসতবাড়ি বাস্তভিটা হারিয়ে এলাকা ছাড়া হয়ে যায় শত শত পরিবার।
প্রতি বন্যায় নাম মাত্র ত্রান ও অন্যান্য সহায়তা এবং নদী ভাঙ্গন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ, সংস্কার বাবদ বছর বছর কোটি কোটি টাকা জলে আর একটি চক্রের পকেটে চলে যায়।কাজের কাজ কিছুই হয় না। এই জেলায় প্রতিবছর বন্যা থেকেই যায়। বন্যা রোধে বা নদী শাসনে অপরিকল্পিত কার্যক্রম প্রতি বছরের বন্যা দৃশ্য উপহার পায় জাতি। বন্যা নিয়ন্ত্রনে সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে দেওয়া হয় বছর বছর। কিন্তু স্বাধীনতা অর্ধ শতকেও এই এলাকার বন্যা রোধে দৃশ্যমান বা দীর্ঘ স্থায়ী পরিকল্পিত কোন উন্নয়ন কোথাও নদীর বুকে চোখে পড়ে না। দেখানো বালির বস্তা ফেলে কোটি কোটি টাকা খরচ হয় বছর জুড়ে তবু যা তাই থেকে যায়।
গাইবান্ধা জেলার দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা বন্যা নিয়ন্ত্রন ও উক্ত এলাকার কর্মময় উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। আরেক বার নরেচরে বসতে হবে ডিজিটাল সারা বিশ্বে মানুষের মতো রোবট বানানো সম্ভব যদি হয়। হাজার হাজার কিলো যদি মিনিটে হাতে আসে তবে গাইবান্ধা জেলার চিরচায়িত বন্যা ও মঙ্গা রোধ করা সম্ভব। বছর বছর কোটি কোটি টাকা দেওয়ার চেয়ে বিশ বা ত্রিশ বছরের বরাদ্দ একবারে দিয়ে এই দূর্ভোগ হতে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
গাইবান্ধা জেলার নদীর বুকে বা নদী অঞ্চলে কে পর্যটন নগরী ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে কলকারখানা স্থাপনে পরিকল্পিত ভাবে নদী গুলোতে বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এতে প্রচুর পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ ব্যয় করলে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর হবে গাইবান্ধা জেলা অবহেলিত অংশ এতে উপকৃত হবে জেলাবাসী তথা গোটা দেশ জাতি। বর্তমান সরকারের নিকট জেলাবাসীর পক্ষ হতে আকুল আবেদন করছি আমরা বন্যা ও মঙ্গায় আর থাকতে চাই না। আমরাও উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করতে চাই। চিরচেনা অভাব দুর করতে নিরাপদ আশ্রয়ের পাশাপাশি নিরাপদ কর্মসংস্থান চাই। এজন্য এ এলাকাকে নিয়ে স্থায়ী উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহনের জন্য নিবেদন করছি।