
দলীয় প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিকাল ৪টা থেকে দুই ঘন্টা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির এ বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে, মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাদের অবস্থান কি হবে সে বিষয়ে বিভিন্নভাবে নেতা-কর্মীরা জানতে চাচ্ছেন।
ইতিপূর্বে আমরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার বিরোধিতা করেছিলাম। তখন বলেছিলাম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা বাংলাদেশের জন্য উপযোগী হবে না। এটা রাজনীতিতে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করবে। আমরা এখনো মনে করি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক ব্যবস্থা তুলে নেয়া উচিত।
প্রকৃতপক্ষে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্থানীয়দেরকে দলীয় মার্কা ছাড়াই নির্বাচনের সুযোগ দেয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, বিএনপির যে সমস্ত নেতা কর্মী বা যারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন তারা যদি কেউ অংশ নিতে চান, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমরা মার্কা বরাদ্ধ করবো না।
বরগুনায় আসল মদদদাতাদের আড়াল করতেই নয়ন বন্ডকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বরগুনায় রিফাত হত্যার পর প্রধান আসামী নয়ন বন্ডকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আইন-আদালত ও রাষ্ট্রের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, নয়ন বন্ডকে হত্যা করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আসল মদদদাতাদের আড়াল করা। তারা যেন আপনার আলোচনায় না আসতে পারে সেজন্য এটা করা হয়েছে।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের কর্মসূচিতে বিএনপির নৈতিক সমর্থনের কথা জানিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, আগামী ৭ই জুলাই বাম গণতান্ত্রিক জোট হরতাল আহ্বান করেছেন। আমরা এই হরতালের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছি।