
ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ ১৪ জুলাই রবিবার সকাল ১১টার দিকে পানির প্রবল চাপে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া বাঁধের ৫০ মিটার ধ্বসে প্লাবিত হয়েছে বিস্তির্ণ এলাকা। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই এলাকার কয়েকশ’ পরিবার। বাড়িঘর, ফসলী জমি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে ছুটছেন পানিবন্দি মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, আজ ১৪ জুলাই রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৭৮ সে.মি., কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা ২২ সে.মি ও জেলা শহরের ব্রীজরোড পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৫৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই করছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, কাবিলপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী, গলনা, ফুলছড়ি ইউনিয়নের দেলুয়াবাড়ী, ফজলুপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাটিয়ামারী, উজালডাঙ্গা, বাজে তেলকুপি, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের হরিচন্ডি, জিগাবাড়ী, সন্যাসীর চর এবং সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ জানান, ফুলছড়ি উপজেলার দেলুয়াবাড়ি, জামিরা, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনা, ফজলুপুর এখন বন্যা কবলিত। এই সমস্ত এলাকায় নদী ভাঙনও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, নদীর পানি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে।