
টানা বৃষ্টি আর উজানের পানিতে বাঁধভাঙ্গা বন্যায় গাইবান্ধায় রেললাইন ডুবে যাওয়ায় গতকাল ১৭ জুলাই বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকার সঙ্গে গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিহাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা থেকে কাউনিয়া-সান্তাহার সেকশনে আবারও ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
বুধবার রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী ঘোষনা না দেয়া পর্যন্ত কাউনিয়া-সান্তাহার সেকশনে ট্রেন চলাচলের নতুন রুট সম্পর্কে জানানো হয়। করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার থেকে বোনারপাড়া এবং বোনারপাড়া থেকে সান্তাহার পর্যন্ত চলাচল করবে। এছাড়া দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দিনাজপুর থেকে গাইবান্ধা এবং গাইবান্ধা থেকে দিনাজপুর, ৭ আপ /৮ ডাউন মেইল ট্রেনটি পঞ্চগড় থেকে গাইবান্ধা এবং গাইবান্ধা থেকে পঞ্চগড় ও সান্তাহার থেকে বোনারপাড়া এবং বোনারপাড়া থেকে সান্তাহার চলাচল করবে। এদিকে ১৯/২০ বগুড়া এবং পদ্মরাগ চলাচল করবে না। এছাড়া, রংপুর ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস কাউনিয়া-পার্বতীপুর-সান্তাহার রুট ব্যবহার করে ঢাকা চলাচল করবে। রেল যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বন্যার পানি কমে আসলে বাদিয়াখালী সেকশনে রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এরআগে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নে বাদিয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন চেয়ারম্যানবাড়ী মিয়াপাড়া রেলগেট এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রেললাইনে পানি ওঠায় এবং তীব্র স্রোতে রেললাইনের স্লিপার, মাটি ও পাথর সরে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। রেললাইনের চার থেকে ছয় ইঞ্চি ওপর দিয়ে এই পানি তীব্রবেগে প্রবাহিত হওয়ার ফলে কিছু কিছু জায়গায় রেললাইনের নিচের মাটি, পাথর ও স্লিপার ধ্বসে যায়। এসময় সান্তাহার থেকে দিনাজপুরগামী পদ্মরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশন সংলগ্ন মিয়াপাড়া রেলগেট এলাকায় আটকা পড়ে। এ অবস্থায় বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ট্রেন চালানো বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে গাইবান্ধাসহ উত্তরের চার জেলার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।