
নাটোরের গুরুদাসপুরে আদালতে চলমান একটি হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষীর এক হাত কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আজ বৃহস্প্রতিবার সকালে ওই হত্যা মামলার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার সময় যোগেন্দ্র নগর বাজারের কাছে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাক্ষী জালাল উদ্দিনের ওপর হামলা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এসময় তারা উপর্যুপুরি কুপিয়ে জালাল উদ্দিনের ডান হাত কেটে নেয়। সেই সঙ্গে তার পায়ের রগ ও বাম হাতটিও কুপিয়ে জখম করে তারা, জানান গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল উদ্দিন মারা যান বলে জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।
জালাল উদ্দিন নিজেও একজন হত্যা মামলা আসামী বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে। সম্ভাব্য সবদিক বিবেচনা করে হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখার কথা জানান তারা।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা বর্তমানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের সন্দেহের তালিকায় তিন চারজন রয়েছেন। তাদের সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি।
২০১৩ সালে উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের এক নারীকে নির্যাতনের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় জালাল উদ্দিনকে প্রধান সাক্ষী করা হয়, বলছে পুলিশ।