
বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ২০১৪ সাল থেকেই তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক না, এখন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের একজন সদস্য, ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত হন তিনি। খবর বিবিসি বাংলার
বিশ্বকাপ ও মাশরাফী, এই দুটো শব্দ একসাথে হলেই ২০১১ বিশ্বকাপ অবধারিতভাবে চলে আসে। সেই বিশ্বকাপে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে ফিটনেসজনিত কারণে দল থেকে বাইরে রাখেন নির্বাচকরা।
কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম বড় তারকার দলের বাইরে থাকা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।
খোদ মাশরাফীও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময় আবেগ সামলাতে না পেরে কেঁদেছেন সেবার।
ক্যারিয়ারে নানা উত্থান-পতন কাটিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা প্রায় ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলে যাচ্ছেন। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে মাশরাফীর অন্যতম বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ইনজুরি।
শুধু হাটুঁতেই অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার। তবু ২০১৪ সাল থেকে অনেকটা নিয়মিতই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
এক নজরে মাশরাফীর ওয়ানডে ক্যারিয়ার
ম্যাচ২০৯
উইকেট২৬৫
সেরা৬/২৬
গড়৩১.৫৫
ইকোনমি৪.৮১
বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
বিবিসি বাংলার মুখোমুখি মাশরাফী
মাশরাফীর সবচেয়ে প্রিয় বিশ্বকাপ ২০০৭ সাল, ভারতের দলটি ছিল সেই বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট সেই বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে সুপার এইটে ওঠার স্মৃতিটাই তাঁর সবচেয়ে প্রিয়।
২০০৩ বিশ্বকাপে মাশরাফী দলে থাকলেও ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি তিনি। ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনি ৯ ম্যাচে ৯উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে দলে ছিলেন না মাশরাফী। ২০১৫ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ দল।
মাশরাফি বলেন, লেগে থেকেছি অনেকটা দিন, অনেকবার ইনজুরি হয়েছে হাল ছাড়িনি কখনো মানুষ যদি চায়, চেষ্টা করে মেহনত করে, আল্লাহ তা’আলা সাহায্য করেন। শেষ স্টেজে এসে পেয়েছিও অনেক। খেলেছি অনেকদিন, অধিনায়কত্ব করেছি, বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছি, সবকিছু মিলিয়ে চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, একজন প্রশ্ন করেছে বিশ্বকাপ আপনার কাছে কী? আমি বলেছি কিছুইনা। আমি আমার সেরাটা চেষ্টা করি, ব্যক্তি আমার কাছের চেয়ে এটা দলের কাছে ও দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, যদি বিশ্বকাপ জিতি সেটা সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপ ফাইনালে হেরেছি সেটা সবাই হেরেছি, জিতলেও আমি একা জিততাম সেটা না, তাই এটার উত্তর আসলে আমার কাছে নেই।