
পীরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধিঃ
পীরগঞ্জে ভেন্ডাবাড়ী হতে বড়দরগা হতে ১১ কিলোমিটার রাস্তার পাকা করণের কাজটির ধীর গতিসহ ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রকাশ, সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী হতে বড়দরগা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তাটি বর্ধিত করণ, পুনরায় কর্পেটিং এবং বক্সার বাধাই ও চারটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলজিডি অর্থায়নে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। উক্ত রাস্তার কাজটি রংপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খায়রুল ইসলাম রানা ট্রেডার্স প্রোঃ খাইরুল ইসলাম রানা পেয়েছে। উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের শুরুতেই বড়দরগা হতে ১ কিলোমিটারের মধ্যে ২টি ব্রিজ এবং ভেন্ডাবাড়ী শরিফপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট একটি ব্রিজ, মোট ৩টি ব্রিজ একসঙ্গে ভেঙ্গে নতুন ব্রিজের কাজ শুরু করেন। ব্রিজের কাজের শুরুতেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন বলে জানান, ৩ নং বড়দরগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হক। “তিনি জানান নিয়ম আছে কোন রাস্তার ব্রিজের কাজ সংস্কার করা হলে ব্রিজের পার্শ্বে বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে হবে যাতে ঐ রাস্তা দিয়ে সকল প্রকারের যানবাহন চলাচল করতে পারে। কিন্তু উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা করেননি। নামমাত্র একটি অপ্রশাস্ত রাস্তা তৈরি করেছিলেন। যা দিয়ে কোন রকমে মটরসাইকেল ও বাইসাইকেল পারাপার হতো। বাস ট্রাকতো দূরের কথা, ভ্যান রিক্সা বা অটোরিকশা পার হতে পারত না। ফলে দীর্ঘ ২ মাস যাবত এই গুরুত্বপূর্ণরাস্তাটি দিয়ে কোন ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। ফলে এ অঞ্চলের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে ভেন্ডাবাড়ী হতে বড়দরগা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে ঘুরে উপজেলা সদর থেকে রংপুর জেলা সদরে পৌছাতে হয়েছে। ব্রীজের কাজ হওয়ার পর বর্তমানে রাস্তার দুপার্শ্বে ৩ ফিট করে মোট ৬ফিট বর্ধিত করণের কাজ শুরু করা হয়েছে। নিয়ম আছে বর্ধিত করণ কাজে প্রথমে রাস্তার একপার্শ্বে ৩ফিট চওড়া এবং ৪ ফিট গভীর করে বালি খোয়া দিয়ে রোলার করতে হবে। কিন্তু ঠিকাদার একসঙ্গে দুইপাশ্বে খনন করে দীর্ঘদিন ধরে তা বালু ও খোয়া দিয়ে ভরাট না করে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে প্রতি নিয়ত বাস ট্রাক ভ্যান রিক্সাকে সাইট দিতে গিয়ে বর্ধিত করণ কাজের গর্তে চাকা ফেসে গিয়ে ছোট খাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের শিডিউলের নিয়ম থাকলেও ১১ কিলোমিটারের কোথাও সাইনবোর্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে নি¤œমানের ইট দিয়ে বে-সাইজের বড় বড় খোয়া বর্ধিত করন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভেন্ডাবাড়ী ০২ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারকে মোখিক ভাবে বলেছিলাম। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। অপরদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্টারে ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম এর মোবাইলে যোগাযোগ করলে তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। এদিকে উপজেলা প্রকৌশলি মজিবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে “তিনি জানান যে জুন ক্লোজিং এর পরে রাস্তার কাজের গতি বাড়বে। দুর্নীতি ও অনিয়মের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং সাইনবোর্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন সাইনবোর্ড আছে কিনা আমি জানিনা।” এলাকাবাসী রাস্তার কাজটি সঠিক তদারকি ও নিয়ম মাফিক দ্রুত কাজটি শেষ করে জনদুর্ভোগ থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।