
ইংল্যান্ডে ১৯৯৯ বিশ্বকাপটাই ওয়ালশের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। সেবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হয়েছিলেন।
সময় মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়। ২০ বছর পর এবার সেই ইংল্যান্ডেই যাচ্ছেন বাংলাদেশের দলের বোলিং কোচ হিসেবে। এটা বেশ অদ্ভূত একটা অনুভূতি। তবে আমি বাংলাদেশের সাথে বিশ্বকাপ মিশন নিয়ে পুরোপুরি ফোকাসড। খবর বিবিসি বাংলার
আশা করছি ভালো ক্রিকেট উপহার দিবো আমরা। যদি কিছু চমক দিতে পারি সেটা হবে আমার জন্য ভীষণ গর্বের।
মাশরাফীর নেতৃত্বে মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ চৌধুরি ও সাইফুদ্দিনকে নিয়ে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাক।
অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল; তবে পুরোপুরি পরীক্ষিত এখনো নয়। ইনজুরি শঙ্কাও আছে।
কতটা আশাবাদী তিনি?
ইংল্যান্ডে ধারাবাহিকতা আসল। কন্ডিশনের সাথে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। কোথাও একটু ওভারকাস্ট থাকতে পারে আবার কোথাও একেবারে ফ্লাট উইকেট।
ওভালের সাথে কার্ডিফের পার্থক্য থাকবে আর সেটা দ্রুত বুঝে নিতে হবে। সেভাবেই গেমপ্ল্যান সাজাতে হবে, আমার বোলারদেরও সেভাবে প্রস্তুত করছি আমি। তবে বিশ্বকাপের উইকেট যে বোলারদের জন্য সহজ হবে না সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রথম ৫০০ টেস্ট উইকেট শিকারী ওয়ালশ।
নতুন ফরম্যাটে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চান তিনি। টুর্নামেন্ট বড় হয়েছে। কোন নির্দিষ্ট দলকে লক্ষ্য করে নয়, প্রতিটি ম্যাচকেই সমান গূরুত্ব দিয়ে খেলতে হবে। কোন দলকেই সহজ ভাবার কারণ নেই। তবে তার নিজের দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তো অনেকেই হিসেবের বাইরে রাখছেন।
তাঁরা বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাবে। দলটির অনেকে আইপিএল ও এর বাইরেও পারফর্ম করেছে। আমি বলবো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভয়ংকর দল। তাঁদের হালকাভাবে নেয়ার ভুল করবে না কেউ।
ওয়ালশের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিটা বিশ্বকাপ পর্যন্তই। পরের চিন্তা পরেই করতে চান তিনি।
আপাতত সব মনোযোগ এখানেই। গত আড়াই বছর দারুণ ছিল। তবে আমি চাইবো বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলতে।