
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এই দলের নেতা কে তা বোঝা যায় না। বিএনপি কখনো লন্ডন থেকে, কখনো জেল থেকে পরিচালিত হয়। এই দল নিয়ে জনগণের আর কোনো আস্থা নেই। মিডিয়ার কল্যাণে দলটি টিকে আছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর সংঘর্ষের বিষয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে যা ঘটেছে, তা একটি ‘ছোট সাধারণ ঘটনা’। এটি নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
হানিফ বলেন, ‘ছাত্রলীগ একটি বৃহৎ সংগঠন, এখানে হাজার হাজার নেতা-কর্মী রয়েছেন। বয়সে তরুণ হওয়ায় তাঁদের প্রতিক্রিয়াটা একটু ভিন্ন। যোগ্য নেতারা সবাই পদ প্রত্যাশা করেন। সবাইকে তো দেওয়া যায় না। তখন কিছু ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হতেই পারে। যে কারণে এ রকম একটু–আধটু ঝামেলা হতেই পারে। আমাদের দেশে এমনটি হয়ে থাকে।’
মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন বিষয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘সব মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করতে হবে। যেসব সংগঠনের মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, তাদেরও কেন্দ্রীয় সম্মেলন করার জন্য আমাদের সভা থেকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারাও তৃণমূল পর্যন্ত তাদের সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্মেলন সম্পন্ন করতে পারবে। সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
নির্ধারিত সময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে ঢেলে সাজিয়ে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করতে পারবো। যথাসময়ে অক্টোবরেই আমাদের কাউন্সিল সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি আমাদের যে সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন আছে, সে সকল সংগঠনের মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকেও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার জন্য আমাদের সভা থেকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারাও তৃণমূল পর্যন্ত তাদের সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে নির্ধারিত সময়ের মাঝে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারবে। সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হানিফ বলেন, ঈদের পর ডিজিটাল ডাটাবেইজ নিয়ে আওয়ামী লীগের সারাদেশের সংগঠনের দফতর সম্পাদকদের নিয়ে ঢাকায় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আগামীকাল বুধবার ( ১৫ মে) সন্ধ্যা ছয়টায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে তাকে দলের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানানো হবে। এছাড়া ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী করবে আওয়ামী লীগ। ১৭-৩১ মে প্রতিদিনই দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কৃষি সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।