
গাইবান্ধার সদর উপজেলা থেকে আমির হোসেন (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৬ মে সোমবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার কুপতলার ধর্মতলা গ্রামে আমিরের ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আমির হোসেন রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতো সে একজন ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ।
আমিরের বড় ভাই জবিউল ইসলাম বলেন, ৫ মাস আগে আমির হোসেনের সাথে ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ীর খাটিয়ামারীর চরের মহির উদ্দিনের মেয়ে মনজু রানীর (১৮) বিয়ে হয়।গতকাল রবিবার রাত ১১টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সোমবার ভোরে আমির হোসেনের দরজা খোলা এবং সে বাঁশের সাথে ঝুলিয়ে আছে। এসময় তার স্ত্রী মনজু ছিল না। থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ সোমবার ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে।
জবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সকালে মনজু রানীর মামীকে ঘটনাটি জানালে তিনি জানিয়েছেন আগে চরের এক ছেলের সাথে মনজু রানীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই প্রেমিক চরের কয়েকজনকে নিয়ে এসে মনজু রানীর সহায়তায় আমিরকে হত্যা করেছে। এই কথার মোবাইল রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। বাড়ীর পাশে পুকুর পাড়ের মাটিতে ধস্তা-ধস্তি ও আঁচড়ের দাগ এবং রশি দেখতে পাওয়া গেছে। মনজু রানী আমার ভাইকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমির হোসেনের গলায় দাগ রয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তে হত্যা প্রমাণিত হলে হত্যা মামলা দায়ের হবে।