
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে বিএনপি- তারেক রহমান-খালেদা জিয়ার দুর্নীতির সত্য তুলে ধরে বক্তব্য রেখেছেন। তার প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন এই বক্তব্য নাকি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ! কিন্তু আসল কথা হলো গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশে বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি। কারণ তারা গণতন্ত্রকে সবসময় বাধাগ্রস্ত করেছে। তাদের জন্মটাই অগণতন্ত্রিক পথে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম,সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এড. শামসুল হক টুকু, সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম, এইচডি রুবেল, অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, অরুন সরকার রানাসহ অনেকে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে দুর্বৃত্তায়নের চক্র থেকে বেরিয়ে এসে গণতান্ত্রিক ধারা জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। জনগণের দল হতে হলে তাদের কর্মপন্থা পরিবর্তন করতে হবে। আর সেটা করতে হলে দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে হবে। তাহলেই তারা জনগণের দল হতে পারবে।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরীক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর জোট ছাড়া বিষয়ক আল্টিমেটামের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ দলের ভাঙনের শুরু দেখতে পেলাম। এখন ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা চলছে। ঐক্যফ্রন্টে এখন আর ঐক্য নেই। ধীরে ধীরে অনেকেই ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।
ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার আত্মীয়সম সম্পর্ক ছিল। ক্রান্তিকালে এবং সংকটময় মুহূর্তে তিনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি মানসিকভাবে সহায়তা করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনও তাকে ভুলবে না।