
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য সামগ্রিকভাবে দেশ ও জনগণের জন্য এক অশুভ আগামীর ইঙ্গিতবাহী বলে অভিযোগ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি যদি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে তাহলে সেটি শুধু উদ্বেগজনকই নয় বরং তা সামগ্রিকভাবে দেশ ও জনগণের জন্য এক অশুভ আগামীর ইঙ্গিতবাহী।
দেশে যে ন্যুনতম গণতন্ত্র নেই, বরং একদলীয় শাসনের চরম বহি:প্রকাশ ঘটেছে তা লন্ডনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সুস্পষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, আইনের শাসন, আইনী প্রক্রিয়া ও ন্যায় বিচার নিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক শক্তি বারবার যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে সেটি যে ন্যায়সঙ্গত তা আবারও প্রমানিত হলো।
খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে অসহায় মানুষের প্রতিকার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থলের ওপর আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি হবে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, চরম নৈরাজ্য নেমে আসবে রাষ্ট্র ও সমাজে। সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভয় ও শঙ্কার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সারাজাতি উৎকন্ঠিত। আমি এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।