দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মিথ্যা মাদকের মামলা দিয়ে স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিককে ফাঁশানোর চেষ্টা করা হলে তা তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থ ও দালালচক্রের প্ররোচনায় দৌলতপুর থানার এসআই সাইফুল ও তার সহযোগী এএসআই সাহেব আলী এবং এএসআই আসাদ সীমান্ত এলাকার সংবাদিক মেহেদী হাসান সাগর ওরফে সাকবর আলীকে মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁশানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও এসআই সাইফুল ও তার সহযোগী এএসআই সাহেব আলী এবং এএসআই আসাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে বিস্তর অভিযোগ করেছেন।
তদন্তকালে উপস্থিত এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে দৈনিক মাটির ডাক পত্রিকার দৌলতপুর প্রতিনিধি সাকবর আলী জানান, গত ৫জানুয়ারী বিকেলে দৌলতপুর থানার এসআই সাইফুল এবং তার সহযোগী এএসআই সাহেব আলী ও এএসআই আসাদ উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষুন্ডি মাঠপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুয়েল ফকিরের আস্তানার পেছন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬ প্যাকেটে ৪২০বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন ৬জানুয়ারী এসআই সাইফুল ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে স্থানীয় দালালচক্রের পরামর্শে একই এলাকার সাকের আলী মেম্বরের বাড়ির পেছন থেকে মাত্র ৭১বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে ৬জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ৩নং আসামী করা হয় সংবাদিক সাকবর আলীকে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নিরাপরাদ সংবাদিক সাকবর আলীর নামে মামলা দিয়ে ফাঁশানোর চেষ্টার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ওইসকল পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম (তদন্ত) ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। তদন্তকালে মামলার স্বাক্ষী উজ্বল, হাসমত ও শামীমসহ এলাকাবাসী অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট ঘটনার বর্ণনা দেন। বর্ণনায় মামলার সাথে কোনভাবেই সাকবর আলী জড়িত না এবং সবসময়ই মাদকের তার বিরুদ্ধে অবস্থান বলে তারা জানায়। আর মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারনে সীমান্তে অঁবাদ মাদক বানিজ্যে এসআই সাইফুল এবং তার সহযোগী এএসআই সাহেব আলী ও এএসআই আসাদের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। যার কারনে সাকবর আলীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের পথের কাটা দুর করার অপচেষ্টা করে। তদন্তকালে এলাকাবাসী অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে এভাবে বর্ণনা দেন। এছাড়াও সীমান্তের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ওই ৩ পুলিশের চরম সখ্যতা ও সর্বদা অর্থবাণিজ্যে লিপ্ত থাকার বিষয়টি সীমান্তের সকলেই অবগত। এবিষয়টিও তদন্তে বেরিয়ে আসে। এলাকাবাসীর দাবি মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরাপরাদ ব্যক্তিদের ফাঁশানোর সাথে জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।