
ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার রোধে রাজশাহী অঞ্চলের আমবাগানে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী সাত দিনের মধ্যে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ফলের বাজারে ও গুদামে রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধে একটি পর্যবেক্ষণ দল গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
পুলিশের আইজি, বিএসটিআইয়ের চেয়ারম্যান, র্যাবের মহাপরিচালককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণেই মানুষের শরীরে রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে।
২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ রায় দেন। রায়ে সাত দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। সেখানে আমের মৌসুমে রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ এবং একটি পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করতে বলা হয়। যার ধারাবাহিকতায় নতুন করে আমের মৌসুম আসায় আইনজীবী হাইকোর্টে এক সম্পূরক আবেদন দিয়ে আদেশ চান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার চাঁপাইয়ে ৩২ হাজার জমির বাগানে আমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ মেট্রিকটন। আর ১৮ হাজার হেক্টর আম বাগানে রাজশাহীর লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিকটন আম।