
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,
বিএনপি হল এদেশের জনগণের দল। বারবার চেষ্টা হয়েছে বিএনপিকে মেরে ফেলার। বারবার চেষ্টা হয়েছে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার। এবারও দেশনেত্রী কারাগারে শুধুমাত্র একটি কারণে। বিএনপিকে নিঃশ্বেষ করা, রাজনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া এবং দেশনেত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা।
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে শত নাগরিক কমিটির আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদারেরর লেখা খালেদা জিয়া-তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক বইটির প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বাবু গয়েশ্বর রায়, আব্দুল মঈন খান, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, ঢাবির সাবেক ভিসি আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, কবি আব্দুল হাই শিকদার, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
খালেদা জিয়া অসুস্থতার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জানি তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এতো অসুস্থ যা আপনাদের বলে বুঝাতে পারব না। আমরা নববর্ষে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি হাটতেও পারেন না। চেয়ারে ঠিকমতো বসতে পারেন না। বিছানা থেকে উঠার জন্য তাকে সাহায্য করতে হয়। তারপরও এতোটুকু মনোবল তিনি হারাননি। এই মনোবল আমাদের মধ্যে সঞ্চার করতে হবে। তরুণদের মধ্যে সঞ্চার করতে হবে। এর মাধ্যমে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রকে এবং আমাদের দেশমাতাকে মুক্ত করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেষ হয়ে যায়নি তার দল। তিনি বলেন, হতাশার কথা শুনতে চাই না। বিএনপি নিঃশেষ হয়ে যায়নি, যারা বলেন যে বিএনপি নিঃশেষ হয়ে গেছে আমি কোনোদিন তাদের সাথে একমত নই। বিএনপি প্রতিটি সংকটের মুহূর্তে উঠে দাঁড়িয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদেরকে গণতন্ত্রকে, দেশমাতাকে, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। কারণ তিনি একজন সেনা নায়কের স্ত্রী। তিনি হঠাৎ ক্ষমতায় বসে পড়েননি। দীর্ঘ ৯ বছর লড়াই সংগ্রাম করে জনগণকে ভালোবেসে, তাদের ভালবাসায় রাষ্ট্র পরিচালার দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন। গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশে দুই জন মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি। তার একজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অপরজন হলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। এই সময়টা আমাদের মনে করতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে একটা অস্বাভাবিক অবস্থায় দেশ চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। আর গণতন্ত্রের মাতা কারাগারে থাকা অবস্থায় গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না।