
দৌলতপুর(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
২৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন বিভিন্ন পদে উপজেলাটির মোট ২৩ প্রার্থী। চেয়ারম্যানের চেয়ারের জন্য ভোটের খাতায় নাম লেখান ৮ প্রার্থী। যার মধ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এই ৮ প্রার্থীর মধ্যে বাদ পড়ে স¦তন্ত্র প্রার্থীতা প্রকাশ করা যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদেরের মনোনয়ন আবেদন। রাজনীতির মাঠে ভোটের হাওয়ার এক অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে পড়ে আব্দুল কাদেরের বাতিল হওয়া মনোনয়ন আবেদন।
৪ মার্চ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক মো:আসলাম হোসেনের কার্যালয়ে শুনানি শেষে ইতিবাচক রায় ঘোষণা আসে। বৈধতা পায় আব্দুল কাদেরের মনোনয়ন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্য এবং দেশের জন্য এক ভয়াবহ অধ্যায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর সারাদেশের মতো দৌলতপুরে আমরা বিক্ষোভ প্রতিবাদ গড়ে তুলি। প্রতিবাদ কর্মসূচীতে তৎকালীন প্রশাসন এবং জামায়াত বিএনপি’র হামলায় আমরা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হই। সেই সময় আমাদের উল্টো মামলাও দেয়া হয়। সেই মামলা পরবর্তীতে নিষ্পত্তি হলেও মনোনয়ন পত্রে নিষ্পত্তির সার্টিফিকেট সংযুক্তি দেয়া হয়নি, একারনেই মনোনয়ন বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়,যদিও দাপ্তরিক প্রক্রিয়ায় পরবর্তীতে আদালতে সার্টিফিকেট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে শুনানি আবেদন করেছিলাম। ৪ মার্চ সোমবার শুনানি শেষে মনোনয়ন কে বৈধতা দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এমন বক্তব্য দেন আব্দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবাণীতে এবং সকলের দোয়ায় শেষ পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে থাকতে সম্পূর্ণ বৈধতা পেয়েছি। দৌলতপুরের মানুষের সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো।