
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে আলাদা ‘ কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ এক নারীসহ তিন ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোররাতে উপজেলার মৌলভীবাজার ও দমদমিয়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ৬টি এলজি, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৮টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলী আকবর পাড়া এলাকার মিয়া হোসনের ছেলে মাহামুদুর রহমান ও হোয়াইক্ষ্যং নয়াপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আফছার।
আর নিহত নারীর নাম মোছা. রুমানা আক্তার (২০)। তার স্বামীর নাম বদরুল ইসলাম। বর্তমানে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি/৬ ব্লকের ৪০ নম্বর রুমের বাসিন্দা তিনি। রুমানা আক্তার মূলত মিয়ানামারের আকিয়াব জেলার মংডু থানার রাম্বীবিল গ্রামের বাসিন্দা।
মাহামুদুর রহমান ও মোহাম্মদ আফছারের বিরুদ্ধে মাদকসহ ৫/৬টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, ৩১ মার্চ (রোববার) টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর একটি টহল দল দমদমিয়া ওমরখাল এলাকায় টহলে যায়। এ সময় নৌকায় করে কয়েকজন লোককে নাফ নদী হতে ওমরখাল দিয়ে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। তাদের থামার জন্য নির্দেশ দিলে তারা টহলদলের ওপর অতর্কিতভাবে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। এতে বিজিবির টহল দলের একজন সদস্য আহত হয়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবি টহল দল কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। উভয় পক্ষের পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০-১৫ মিনিট গুলি বিনিময় চলে। অস্ত্রধারী চোরাকারবারীরা গুলি করতে করতে খালের কিনারা দিয়ে পালিয়ে যায়।
গোলাগুলি থামার পর ভোরের আলোতে টহল দলের সদস্যরা এলাকা তল্লাশি করে একজন নারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নৌকার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখতে পায় এবং তার সাথে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে আনুমানিক ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ঘটনাস্থল হতে ৩টি লোহার ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি জানান, রবিবার ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকায় গেলে ইয়াবা কারবারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গুলি চালানোর পর ইয়াবা কারবারীরা পিছু হঠলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহত ২ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের কক্সবাজার রেফার করেন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ তিনটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।