
চলতি বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৮.১৩ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় বর্তমানে এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এছাড়া তিনি জানান, এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে এনইসি।
জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর (বিবিএস) তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন,গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।মূলত শিল্প খাতের হাত ধরে প্রবৃদ্ধির আকার বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে জিডিপির আকার দাঁড়াবে ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা।
বিবিএস এর তথ্যমতে, কৃষি খাতে চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ১৩ দশমিক শুন্য ২ শতাংশ এবং সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতি বিশেষ করে রফতানি, বিনিয়োগ, রেমিটেন্স প্রবাহ এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে অবস্থা ভাল থাকায় উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সহজ হয়েছে। আগামী চার বছরে প্রবৃদ্ধি দুই অংকের ঘরে পৌঁছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বেসরকারিখাতকে প্রবৃদ্ধির ‘ইঞ্জিন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন,বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। যাতে বিনিয়োগকারীরা অধিকতর বিনিয়োগে উৎসাহী হন।
তিনি জানান,চলতি অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১৯০৯ ডলার।গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল১৭৫১ ডলার।
অবশ্য ১৪ মার্চ এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রত্যেক দেশেই কম বেশি দুর্নীতি রয়েছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত সবচেয়ে বেশি বিপদের মুখোমুখি।
ওইদিন রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল এ অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন-২০১৯ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত আমরা যেভাবে চালাচ্ছি, এভাবে চললে কোনো দিনই উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বল্প মেয়াদি আমানত গ্রহণ করে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়া যেতে পারে না। এর মাধ্যমে যারা উন্নয়নের চিন্তা করেন, তারা বোকার রাজ্যে রয়েছেন। এজন্য বন্ড মার্কেটে জোর দিতে হবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের ভালো প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বপ্রথম প্রাণকে দিয়েই বন্ডের বিনিয়োগ শুরু করা হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে করের পরিধি আরও বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে যারা কর প্রদান করেন, তারাই বারবার দেন। নতুন করে ট্যাক্সের আওতায় আসার উপযোগী অনেকে এই তালিকার অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেন না। তাই আগামীতে কর না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানো হবে।