
বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থেকে যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তা পাক-ভারতে কোনো বন্দী এমনটি পায়নি বলে মন্তব্য করেন,তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। অথচ রিজভী সাহেবেরা প্রতিদিন খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানান।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ঢাকা এডিটর কাউন্সিলের আয়োজিত অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পালিয়েছিলেন। আবার উপজেলা নির্বাচনে পালিয়েছেন। তাহলে তারা জনগণের কাছে কিভাবে যাবেন এবং থাকবেন? তাদেরকে জনগণ প্রত্যাখান করবে না তো যারা জনগণের সুখ-দুঃখে কাছে থাকে তাদের করবে?’
তিনি আরো বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে সানগ্লাস চোখে দিয়ে আদালতে হাজির হন, তাতে তাঁকে কোনো অসুস্থ বলে মনে হয় না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের বিবেক, রাষ্ট্রের বিবেক হিসেবে কাজ করে। গুরুত্বপূর্ন সব কাজ সঠিকভাবে করার জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্ব বহন করে। দেশ, সমাজ এবং জনগণকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সচেতন সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত অর্থবহ। কারণ সঠিক খবর প্রকাশিত না হলে সরকার ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি উন্নত রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। আর এ জন্য আমাদের একটি উন্নত জাতি প্রয়োজন। উন্নত জাতি গঠন করতে পারলে সমাজের কেউ না খেয়ে থাকবে না।’
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই যন্ত্র ব্যবহার করা হলে সবকিছুই সহজ হয়। সময় বাঁচে। কিন্তু বিএনপি ও সমমনারা বলছে অন্যকথা। তারা ইভিএম নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সব সময় শতভাগ সঠিকভাবে কাজ করবে এটা ঠিক না। অতীতেও কোনো সরকার পারেনি এবং বর্তমান সরকারও পারবে বলে মনে হয় না। ভবিষতেও কোনো সরকার সঠিকভাবে সবকিছু করতে পারবে না। ভুলত্রুটি থাকবেই।’
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি জাকির হোসেন ইমনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির অনিক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিইউজের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল ভুইয়া, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি মুস্তাফিজ রহমান, কায়কোবাদ মিলন, আল-মামুন সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাচিত সকল সদস্যকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছে।