
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে রিজভী বলেন, ক্ষমতা মানুষের জীবনে স্থায়ী নয়। সময় অসময় হতে সময় নেয় না! আপনাদের ক্ষমতার দম্ভ চিরদিন থাকবে না। অমানবিকতা পরিহার করুন, এখনও সময় আছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, সুচিকিৎসার সুযোগ দিন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলব- তিন বার সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (খালেদা জিয়া) প্রতি শুধু প্রতিহিংসাবশত এমন নিষ্ঠুর বর্বরতম আচরণের অবসান ঘটান। তাকে মুক্তি দিন। জামিনে আর বাধা দেবেন না।
‘ঔপনিবেশিক আমলেও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের রাজবন্দির প্রতি এমন অমানবিক আচরণ করা হয়নি। অবৈধ ক্ষমতা দখলে রাখতে গিয়ে সভ্যতা-ভদ্রতা-ন্যায়নীতি ও মানবতা আর বিসর্জন দেবেন না।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, রোববার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে এসে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। খুবই অসুস্থ আমি। চিকিৎসকরা দরকারি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না। মাত্র একবার এসে চিকিৎসকরা দেখে গেছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রক্ত নেয়া হয়নি। ডায়াবেটিসের রোগী হিসেবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। থেরাপি ঠিকমতো দেয়া হচ্ছে না। আমি সত্যিই অসুস্থ।’
রিজভী বলেন, দেশবাসীর প্রাণপ্রিয় নেত্রী নিজের মুখে এই প্রথম এমন ভয়াবহ অসুস্থতার কথা বললেন। তার স্বাস্থ্যের চরম ক্রমঅবনতিতে দেশবাসীর মতো আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। সাজানো মিথ্যা মামলায় এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি রেখে আর কত প্রতিহিংসার জ্বালা মেটানো হবে?
‘দেশবাসী জানে তিনি হাঁটতে পারছেন না। পা ফুলে গেছে। হাত অবশ। পুরনো রোগগুলো বেড়ে গেছে। চোখেও প্রচণ্ড ব্যথা। নির্যাতন সহ্য করতে গিয়ে তার পূর্বের অসুস্থতা এখন আরও গুরুতর রূপ ধারণ করেছে। সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলোসিসের জন্য কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা, হিপ-জয়েন্টেও ব্যথার মাত্রা প্রচণ্ড। ঝুঁকিপূর্ণ শরীর।’
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন নানাভাবে আহ্বান এবং দাবি করে আসছি- দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তার পছন্দমতো বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। তাকে জামিনে মুক্তি দিন। তাকে জেলে নেয়ার পর থেকে তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ।