
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. জয়নাল আহমেদ দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার ভোরের দিকে উপজেলার ১ নম্বর জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের মঙ্গলকাটা বাজার গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল আহমেদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সোমবার রাত থেকে জয়নাল আহমেদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে তাঁর খোঁজ করছিলেন। পরে আজ ভোরে মঙ্গলকাটা বাজারের পাশে ধলাইপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় জয়নালের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, জয়নাল আহমেদ ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। কে বা কারা ঠিক কখন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। আমরা লাশের পাশে আছি। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। কীভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটল, সে ব্যাপারে আমরা যথাযথ তদন্ত চালাব।’
অন্যদিকে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল মির্জাচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন।

মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার চরাঞ্চল মির্জাচরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ইকবাল হোসেন (৩০) ও আমান উল্লাহ (২৭)। উভয়েই মির্জাচরের বাসিন্দা। এর মধ্যে নিহত ইকবাল মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের ভাতিজা।
গুলিবিদ্ধ সাজ্জাদ হোসেন (২৮), আজিজুল ইসলাম (২৬) ও রহমত উল্লাহকে (১৮) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দেড় বছর আগে হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাফর ইকবাল মানিকের সঙ্গে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মিয়ার ছেলে ফারুক ইসলামের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলার মুখে চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের সমর্থকরা এলাকাছাড়া হয়। মঙ্গলবার তারা এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আহত পাঁচজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফর হোসেন জানান, হতাহতরা সবাই চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের সমর্থক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।