
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে ধানের শীষের সাত প্রার্থী মামলা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার অন্য প্রার্থীদের মামলা করার কথা রয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রতিটি জেলা থেকে অন্তত একজন প্রার্থীর মামলা করার ব্যাপারে বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার উচ্চ আদালতে নির্বাচনী মামলা করেছেন বরিশাল-১ আসনের প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন, গাজীপুর-৪ আসনের প্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নান, মৌলভীবাজার-৩ আসনের প্রার্থী নাসের রহমান, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী আবদুল হাই ও ভোলা-২ আসনের প্রার্থী মো. হাফিজ ইব্রাহিম। এর আগে মঙ্গলবার মামলা করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ এবং টাঙ্গাইল-৭ আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।
মামলার বিষয়ে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, এসব মামলার মাধ্যমে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কিভাবে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করা হয়েছে তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের একটি কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা গেছে, সেখানে মোট ভোটারের ১১ জন ভোট দেননি। অথচ নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ২৫ জন ভোটার মৃত্যুবরণ করেছেন।
এসব তথ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। একইভাবে মৌলভীবাজার ও নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট দেখানো হয়েছে; যার পুরোটাই নৌকা প্রতীকে পেয়েছে। এর মধ্যে অনেকে মারা গেছেন, অনেকে বিদেশে আছেন আবার অনেকে কর্মস্থলের জন্য নির্বাচনী এলাকার বাইরে ছিলেন।
এসব তথ্য-প্রমাণও আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজ বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলা থেকে প্রার্থীরা মামলা করবেন।
জানা গেছে, মামলার জন্য প্রতিটি বিভাগের জন্য পৃথক আইনজীবী প্যানেল তৈরি করেছে বিএনপি। খুলনা ও ফরিদপুর বিভাগে অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট মীর নাসির, বরিশালে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন, রাজশাহীতে ব্যারিস্টার আমিনুল হক, ময়মনসিংহে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, রংপুরে ব্যারিস্টার রাজীব প্রধান এবং ঢাকা বিভাগে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল মামলা পরিচালনা করবেন।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ব্যারিস্টার কাজলের তত্ত্বাবধানে সাতটি মামলা করা হয়েছে।