গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুরপুর ইউনিয়নের তালতলা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও এক ছাত্রীকে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে খবর পেয়ে সেখানে গোবিন্দগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ঘটনাস্থলে থাকা অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। গত শনিবার রাতে ওই বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক শহিদুল ইসলাম তালুককানুপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
এদিকে এ ঘটনার বিচার দাবিতে ফুঁসে উঠে এলাকাবাসি। তারা রাত ৯টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জের তালতলা এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচী পালন করে। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। শনিবার রাত ৮টা দিকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অবস্থান করছিলেন তারা। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে অফিস কক্ষের বাইরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষকের লোকজন তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে স্থানীয় যুবক সুমন মিয়াসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, এ ধরণের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে উত্তপ্তকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বারার বুলেট ছোঁড়া হয়। এতে কেউ আহত হয়েছেন কিনা জানা যায়নি। তিনি আরো জনান, ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষক ও ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুজনে প্রতিবেশি। সম্পর্কে নানা-নাতনি। ওই ছাত্রী তার নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছে। সন্ধ্যায় শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তাকে নিয়ে মার্কেট যাওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন। কিন্তু টাকা না থাকায় শহিদুল ইসলাম ছাত্রীটিকে নিয়েই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আসেন টাকা নিতে। অফিস কক্ষে প্রবেশের পরই স্থানীয় লোকজন বাইর থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনা নিয়ে মেয়ে ও তার পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাত্রীটিকে তার অভিভাবকের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে কোটে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।