
দৌলতপুর প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া দৌলতপুরে আদাবাড়ীয়া ও বোয়ালীয়া ইউনিয়নে শত শত একর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে, এই টমেটো ক্যমিক্যাল দিয়ে পাঁকানোর হিড়িক পড়েছে, দেখার কেউ নেই। এখানে সবজি আবাদের অনুকুল আবহাওয়া থাকায় শীতকালিন টমেটোর ফলন অনেক বেশী। তাই প্রায় কৃষক বেশি মুনাফার আশায় একে বারে অপরিপক্ব টমেটো তুলে তা মাটিতে বিছিয়ে, ইডেন ও গাডেন নামক ক্যামিক্যাল স্প্রে করছে। এতে টমেটো লাল রং ধারন করছে। লাল রং ধারন করার পরে টমেটো গুলো বিক্রয়ের জন্য শহরের উদ্দেশ্যে পাঠাচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। এ বিষয়ে সরেজমিনে দেখা যায় ক্যামিক্যাল স্প্রের সরাসরি দৃশ্য। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকদের প্রশ্ন করা হলে তার কোন স্বদোত্বর দিতে পারেনি সাংবাদিকদের, তাদের এই ক্যামিক্যাল যুক্ত টমেটো খেতে বললে তারা কোন ক্রমে খেতে চাইনি। বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায় কাঁচা টমেটো বাজারে আসার পরে দেখে মনে হচ্ছে এ যেন পাঁকা টমেটো। এ বিষয়ে আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই আহসান হাবীব দিলিপ জানান আমাদের কুষ্টিয়া জেলার ভিতরে দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন ও বোয়ালীয়া ইউনিয়ন সবজি চাষের জন্য উপযোগি তাই এই এলাকাতে প্রচুর সবজি চাষ হয় তবে টমেটোর চাষ বেশী হয় কিন্তু চাষিরা বেশি মুনাফার জন্য টমেটো ক্যামিক্যাল দিয়ে পাকাঁয় এবং দেশের বিভিন্ন এলাকাতে বিক্রির জন্য পাঠায় । এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার এ কে এম কামরুজ্জামান জানান, দুটি ইউনিয়নে শীতকালীন টমেটো চাষ হয় শুনেছি আমি, কৃষকদের কেমিক্যাল দিয়ে টমোটো না পাঁকানোর পরামর্র্শ দিয়েছি। উপজেলা কৃষি অফিসারকে প্রশ্ন করা হয় এই ধরনের ক্যামিক্যাল মানব শরীরের কি ধরনের ক্ষতি করতে পরে।তার উত্তরে তিনি জানান এই ক্যামিক্যাল লিভার, কিডনি, ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে, কারন সরাসরি শরীরের বিষ প্রবেশ করে।