
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের আগেও টিআইবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সেটি ছিল বিএনপির এজেন্ডা। বিএনপির অভিযোগের সঙ্গে তাদের প্রতিবেদনের ৮০ শতাংশ মিল ছিল। এর ফলে তারা একটি বিশেষ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় তা পরিস্কার হয়ে যায়।
বুধবার সচিবালয়ে টিআইবির প্রকাশ করা দুর্নীতি সূচক নিয়ে প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। যেই শাসনামলে সরকারি দলের সংসদ সদস্যকে দুদক জিজ্ঞাসা করে এবং আদালতে দাঁড়ায়। যা বাংলাদেশে অতিতে কখনো হয়নি। যখন বাংলাদেশ দুর্নীতি কমেছে বলে বিশ্ব দরবারে প্রশংসা হয়, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসা করে। ঠিক সেই মূহুর্তে টিআইবি তাদের ত্রুটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ পদ্ধতি দিয়ে দেশের মানুষকে হেয় করার জন্য চেষ্টা করে।
পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে বলে সারাদেশে রব তুলেছিল টিআইবি। তখন বিশ্বব্যাংক অর্থ বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা বলেছিল দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরে সেটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক কানাডার আদালতে মামলা করেছিল, সেখানে বিশ্বব্যাংক হেরে গেছে। ওই ঘটনায় টিআইবি’র তথ্য ভুল প্রমাণিত হওয়ার পরেও তারা সেটা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। যখন কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংক হেরে যাওয়ার পর আমরা মনে করেছিলাম ঘটা করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে টিআইবি। কিন্তু তারা ক্ষমা চায়নি। যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যতদুর জানি টিআইবির এই দুর্নীতিসূচক নিরুপনের মেথোডলজি তথাকথিত কিছু বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ির মতামত গ্রহণ করা এবং তাদের বিভিন্ন জায়গায় কিছু কমিটি আছে নানা নামে, সেসব কমিটির মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করে। অর্থাৎ তাদের মেথোডোলজিই সমস্যাগ্রস্ত।
টিআইবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুদক এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চেয়েছে। আমি টিআইবিকে বলবো আপনারা কোন তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তা দুদকের কাছে বলুন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি টিআইবিকে অনুরোধ করবো, আপনাদের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা দুদক ও সরকারকে জানালে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।