
বিপিএলে ষষ্ঠ আসরের ৩৫তম ম্যাচে স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৯ ওভারে ১১৬ রান তোলে মুশফিকুর রহিমের দল চিটাগং ভাইকিংস। জবাবে ১৬.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইমরুল কায়েসের দল কুমিল্লা।
এরপর তামিমের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে আসেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তামিম তুলে নেন চলতি আসরের দ্বিতীয় অর্ধশতক। তাতেই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় পাঁচে উঠে এসেছেন বাঁহাতি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
তবে দলীয় ১০৭ রানে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরেন ইমরুল। এরপর তামিমের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে আসেন থিসারা পেরেরা। দু’জন মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন (১১৭/৩)। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। আর ১০ রানে অপরাজিত থাকেন পেরেরা।
চিটাগংয়ের হয়ে ২টি উইকেট নেন আবু জায়েদ। আর একটি উইকেট নেন খালেদ আহমেদ।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় চিটাগং। দলীয় ৩ রানেই ওপেনার সাদমান ইসলাম আর ইয়াসির আলীকে শূন্য হাতে সাজঘরে পাঠান কুমিল্লার পেসার সাইফউদ্দিন। তাতেই বড় ধ্বস নামে চিটাগং দলের ব্যাটিংয়ে। সাইফউদ্দিনের পর ওয়াহাব রিয়াজ, মেহেদী হাসান আর শহীদ আফ্রিদির দারুণ বোলিংয়ে দলীয় ৬৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় চিটাগং। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৩, ডেলপোর্ট ৬ ও সিকান্দার রাজা ৬ রানে ফেরেন।
এরপর একদিক সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। কিন্তু দলীয় ৭০ রানে রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর নাঈম হাসানকে সঙ্গে করে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মোসাদ্দেক হোসেন। তবে দলীয় ৯২ রানে ব্যক্তিগত ৪ রানে ওয়াহাবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নাঈম।
তবে নাঈম ফিরলেও এরপর আবু জায়েদকে সঙ্গে করে ব্যাটে ঝড় তোলেন মোসাদ্দেক। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটসম্যান।
কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ওয়াহাব রিয়াজ ও শহীদ আফ্রিদি। আর মেহেদী হাসান পান ১টি উইকেট।