
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা ফেরার পথে বগুড়ার শহরতলির বকুল এলাকায় একটি হোটেলে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়া আজ জেলে আর তারেক রহমান বিদেশে। তাই খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করতে, তারেক রহমানকে দেশে আনতে ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বগুড়া থেকেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করতে হবে। ৩০ ডিসেম্বর তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে। এর আগে এ রকম অবস্থা আর হয়নি। একাদশ নির্বাচনে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি। নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। নির্বাচনের নামে তামাশা করা হয়েছে। তাই ফল প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করে বলেছি- নির্বাচন বাতিল করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচন তা প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে। কারণ জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি আওয়ামী লীগের ভোটাররাও ভোট দিতে পারেননি। এ কারণে আজ সারা দেশে বিএনপি ও ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বক্তব্যকে ‘চোরের মার বড় গলা’ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোট ডাকাতি করে জয়লাভ করে তারা এখন বলছেন- তারা দেশে জনপ্রিয়। কিন্তু জরিপ বলছে, ৯৯ শতাংশ মানুষ বিএনপির পক্ষে। তাই আওয়ামী লীগ এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।